যুক্তরাজ্যে ২০২৩ সালে গৃহহীন মানুষের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। উদ্বাস্তু, অভিবাসী ও আশ্রয়প্রার্থীদের নিয়ে কাজ করা সংস্থাগুলোর নেটওয়ার্ক নো অ্যাকমোডেশন এই উদ্বেগজনক পরিস্থিতির নিন্দা জানিয়েছে।
নেটওয়ার্কটি তাদের বার্ষিক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত সময়কালে তারা ১,৯৪১ জন অভিবাসীকে অস্থায়ী বাসস্থানের সুযোগ দিয়েছে। এই সংখ্যাটি আগের বছরের তুলনায় দ্বিগুণ, যেখানে ২০২২ সালে এ সংখ্যা ছিল মাত্র ৯৭৭ জন। আশ্রয় পাওয়া এই ব্যক্তিরা যুক্তরাজ্যে শরণার্থী মর্যাদা বা রিফিউজি স্ট্যাটাসধারী।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নো অ্যাকমোডেশন নেটওয়ার্ক ব্রিটিশ সরকারের আশ্রয় এবং অভিবাসন নীতির কঠোর সমালোচনা করেছে। তাদের মতে, এই নীতিগুলো শরণার্থী ও অভিবাসীদের স্থায়ী আবাসনের কোনও সমাধান ছাড়াই বিপদে ফেলে দিচ্ছে।
সংস্থাটি গৃহহীনতার বৃদ্ধির জন্য কয়েকটি বিষয়কে দায়ী করেছে, যেমন:
- আশ্রয়প্রার্থীদের সংখ্যা বৃদ্ধি।
- জরুরি আবাসন ত্যাগে বাধ্য করা।
- আশ্রয় আবেদনের ব্যাপক ব্যাকলগ, যা রক্ষণশীল সরকারের আমলে বাড়ছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, নেটওয়ার্কটির সেবাগ্রহীতাদের মধ্যে শরণার্থীদের অনুপাত ২৬ শতাংশ থেকে বেড়ে ৪৭ শতাংশে পৌঁছেছে।
নেটওয়ার্কের পরিচালক ব্রিজেট ইয়ং বলেন, “প্রতিবেদনে উঠে এসেছে কীভাবে যুক্তরাজ্যের আশ্রয় ব্যবস্থা প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষকে অপ্রয়োজনীয়ভাবে নিঃস্ব ও গৃহহীন করে তুলছে।”
এই পরিস্থিতি মানবিক সহায়তার প্রয়োজনীয়তা বাড়িয়ে তুলেছে বলে সংস্থাগুলো সতর্ক করেছে।